সোমবার, ১৪ মে, ২০১২

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে দুটি কথা




তা রে ক  শা ম সু র  রে হ মা ন


ময়িানমাররে সঙ্গে সমুদ্রসীমা নর্ধিারতি হয়ে যাওয়ার পর দশে দুুটরি মাঝে সর্ম্পক উন্নয়নরে একটি সম্ভাবনার যখন জন্ম হয়ছে,ে ঠকি তখনই আমাদরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ময়িানমাররে বরিুদ্ধে ‘নালশি’ করলনে ওআইসরি সম্মলেনে র্তুকমনেস্তিানরে রাজধানী আশগাবাদ।ে তনিি ওই সম্মলেনে অভযিোগ করছেনে য,ে ময়িানমাররে রোহঙ্গিারা বাংলাদশেরে সমাজে ক্ষতকির প্রভাব ফলেছ।ে রোহঙ্গিাদরে নজি দশেে ফরেত পাঠানোরও দাবি করনে তনিি (সকালরে খবর, ১৩ ম)ে। দীপু মনি যা বলছেনে তার মধ্যে কোনো মথ্যিা নইে। রোহঙ্গিারা আমাদরে জন্য একটা সমস্যা। এটা নয়িে র্দীঘদনি দু’দশেরে মাঝে দনেদরবার চলছ।ে কন্তিু আর্ন্তজাতকি আসরে বলার সময় এখনও আসনে।ি সবচয়েে বড় কথা, ময়িানমার ধীরে ধীরে ‘উন্মুক্ত’ হয়ে যাচ্ছ।ে র্মাকনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ তাদরে র্অথনতৈকি অবরোধ প্রত্যাহার করে নয়িছে।ে সে ক্ষত্রেে আমাদরে জন্যও একটা সম্ভাবনার ক্ষত্রে তরৈি হয়ছে।ে এখন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্য দু’দশেরে মাঝে একটা আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি করতে পার।ে আমরা পররাষ্ট্রনীততিে খুব সফলতা দখেছি না। তাদরে র্ব্যথতা এখানইে য,ে তারা বাংলাদশেরে জাতীয় র্স্বাথ আদায়ে দ্বপিাক্ষকি আলোচনায় কোনো সফলতার পরচিয় দতিে পারনেন।ি এমনকি কোনো কোনো ক্ষত্রেে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটয়িে দু’জন উপদষ্টোকে তত্পর হতে দখো গছে,ে যদওি কোনো ক্ষত্রেইে বাংলাদশেরে জাতীয় র্স্বাথ রক্ষতি হয়ন।ি শুধু তাই নয়, ভারতকে বশেি গুরুত্ব দতিে গয়িে আমরা আমাদরে প্রতবিশেী ময়িানমারকে কখনই ববিচেনায় নইিনি এবং নকিট প্রতবিশেী চীনরে সঙ্গে সর্ম্পক আরও গাঢ় করার তমেন কোনো বড় উদ্যোগ নইিন।ি আমাদরে জাতীয় র্স্বাথরে কারণে ময়িানমার ও চীনরে প্রয়োজন রয়ছেে অনকে বশে।ি যদওি প্রধানমন্ত্রী শখে হাসনিা চীন ও ময়িানমার সফর করছেনে, কন্তিু দশে দুটরি সঙ্গে উল্লখেযোগ্য অগ্রগতি সাধতি হয়ছে,ে তা বলা যাবে না। তবে একটি সম্ভাবনার ক্ষত্রে তরৈি হয়ছেলি। এই সম্ভাবনা এখন প্রশ্নরে মুখে দাঁড়য়িছে।ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ্য নতেৃত্ব দরকার, যারা সময়রে ববিচেনাকে প্রাধান্য দয়িে পররাষ্ট্রনীততিে নয়া দকিনর্দিশেনা দবেনে।
আমাদরে পররাষ্ট্রনীতরি একটি বশৈষ্ট্যি হচ্ছে আমরা বহুপাক্ষকিতায় বশ্বিাসী। কন্তিু ভারতরে দ্বপিাক্ষকিতার কারণে আমরা আমাদরে পররাষ্ট্রনীতরি বহুপাক্ষকিতার চরত্রি হারয়িে ফলেছে।ি ফলে আমাদরে জাতীয় র্স্বাথ রক্ষতি হচ্ছে না। ময়িানমাররে জ্বালানি সম্পদকে আমরা কাজে লাগাতে পারনিি সঠকি সময়ে সঠকি সদ্ধিান্তটি না নওেয়ার কারণ।ে অথচ চীন, থাইল্যান্ড এবং ভারতও এই জ্বালানি সম্পদকে ব্যবহার করছ।ে প্রতবিশেী দশে হওয়ার কারণে আমাদরে সুযোগ ছলি সবচয়েে বশে।ি চট্টগ্রামে ময়িানমাররে কাঁচামালভত্তিকি শল্পি-কারখানা স্থাপনরে সম্ভাবনা থাকলওে আমরা এ ব্যাপারে গত তনি বছরে কোনো উদ্যোগ নইিন।ি ময়িানমার-চট্টগ্রাম সীমান্তে সার কারখানা স্থাপন করে ময়িানমাররে বপিুল সাররে চাহদিা আমরা পূরণ করতে পারতাম। কন্তিু তা হয়ন।ি আকয়িাব, মংডুর আশপাশে প্রচুর বাঁশ, কাঠ ও চুনাপাথর পাওয়া যায়। এর ভত্তিতিে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সমিন্টে ও কাগজ শল্পি বকিশতি হতে পারত। সঠকি দকিনর্দিশেনার অভাবে তা হয়ন।ি এমনকি বাংলাদশেে বসেরকারি উদ্যোক্তাদরেও আমরা উত্সাহতি করনি।ি আমরা বসেরকারি উদ্যোগে আফ্রকিাতে জমি লজি নয়িে চাষাবাদরে উদ্যোগ নয়িছে।ি অথচ পাশরে দশেে রয়ছেে প্রচুর অনাবাদি জম।ি ময়িানমার জমি ‘লজি’ দওেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দখোলওে আমাদরে নীতি প্রণতোরা বষিয়টি নয়িে ভাবনেন।ি এমনকি বসেরকারি উদ্যোক্তাদরেও উত্সাহতি করনেন।ি অতসিম্প্রতি ভারত থকেে তুলা আমদানি নয়িে একটা জটলিতার সৃষ্টি হয়ছেলি। অথচ ময়িানমাররে মন্দালয়-ম্যাগাওয়ে অঞ্চলে প্রচুর তুলা উত্পন্ন হয়। আমরা কখনও ওই তুলার ব্যাপারে আগ্রহ দখোইন।ি এমনকি ওই অঞ্চলে প্রচুর ভুট্টা চাষ হয়। ময়িানমারে প্রচুর গবাদপিশু উত্পাদন হয়, যা কনিা আমাদরে চাহদিা মটোতে পার।ে যৌথভাবে গবাদপিশুর র্ফাম তরৈি করাও সম্ভব। ময়িানমারে প্রচুর বদিশেি র্পযটক আসনে। এরা যাতে বাংলাদশেরে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে আসনে কংিবা সুন্দরবনে এদরে নয়িে যাওয়া যায় কি না, আমাদরে ট্যুর অপারটেররা বষিয়টি ভবেে দখেতে পারনে। কুনমংি-মুস-েঘুমধুম সড়ক আমাদরে জন্য একটি বশিাল সম্ভাবনার সৃষ্টি করতে পার।ে বাংলাদশে আগ্রহ দখেয়িছেে বট,ে কন্তিু তমেন কোনো উদ্যোগ নইে। বাংলাদশেরে সঙ্গে ময়িানমাররে সড়ক যোগাযোগরে জন্য ‘মত্রৈী সড়ক’-এর কাজ শুরু হয়ছেলি বগিত চারদলীয় জোট সরকাররে সময়। ওই সড়কে বশে ক’টি সতেু নর্মিাণ করার কথা, যা কনিা বাংলাদশে নজিরে র্অথায়নে করব।ে কন্তিু এই ‘মত্রৈী সড়ক’-এর কোনো খবর আমরা জানি না। অথচ ভারতকে ট্রানজটি দতিে আমরা অনকে রাস্তা সংস্কার করছে।ি এমনকি ততিাস নদীতে বাঁধ দয়িে ভারতীয় ২৮ চাকার যান চলাচলরে সুযোগ আমরা করে দয়িছে।ি অথচ ‘মত্রৈী সড়ক’ দ্রুত সম্পন্ন করার তমেন কোনো উদ্যোগ আমাদরে নইে। র্অথাত্ বাংলাদশেরে উন্নয়নরে প্রয়োজনে আমরা ময়িানমারকে গুরুত্ব দইিন।ি বাংলাদশে ও ময়িানমার ‘বমিসটকে’-এর সদস্য। ময়িানমাররে সঙ্গে বাংলাদশেরে সর্ম্পক বৃদ্ধি শুধু বাংলাদশেি পণ্যরে বাজারই আসয়িানভুক্ত দশেগুলোর জন্য উন্মুক্ত করবে না, বরং আসয়িানরে সদস্যপদ প্রাপ্তরি ক্ষত্রেে আসয়িানরে ‘ডায়ালগ র্পাটনার’-এর র্মযাদা পতেে সাহায্য করব।ে বলা ভালো, ভারত ইতোমধ্যে ‘ডায়ালগ র্পাটনার’-এর র্মযাদা পয়েছে।ে ময়িানমার আসয়িানরে সভাপতরি দায়ত্বি পতেে যাচ্ছে আগামী বছর। এটাকে গুরুত্বরে সঙ্গে ববিচেনায় নয়িে এবং বাংলাদশেরে জাতীয় র্স্বাথকে প্রাধান্য দয়িে ময়িানমাররে সঙ্গে সর্ম্পক উন্নত করার উদ্যোগ নতিে হবে এখনই। বহর্বিশ্বিে ময়িানমাররে যে ‘বদনাম’ ছলি তা ইতোমধ্যইে কাটয়িে ওঠার উদ্যোগ নয়িছেে ময়িানমার সরকার। গণতন্ত্রী নত্রেী সু চ’ির সঙ্গে প্রসেডিন্টে থইেন সইেন প্রশাসনরে সর্ম্পক এখন ভালো। সু চি উপনর্বিাচনে বজিয়ী হয়ছেনে। জনোরলে সইেন নর্বিাচনরে মধ্য দয়িে ময়িানমারে একটি গণতান্ত্রকি প্রক্রয়িা শুরু করছেনে। ময়িানমাররে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্ররে বরৈী সর্ম্পক আগরে মতো নইে। ময়িানমাররে বপিুল জ্বালানি সম্পদরে সম্ভাবনা র্মাকনি বহুজাতকি সংস্থাগুলোকে ময়িানমাররে ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলছে।ে বলতে বাধা নইে, ময়িানমার আর আগরে অবস্থানে নইে। এখানে ভারতরে ভূমকিাও লক্ষ করার মতো। ভারত তার জাতীয় র্স্বাথরে প্রয়োজনইে ময়িানমার সরকাররে সঙ্গে সর্ম্পক গড়ে তুলছেলি। এ ক্ষত্রেে সু চ’ির গণতান্ত্রকি আন্দোলন কখনই প্রাধান্য পায়ন।ি ভারত বহর্বিশ্বিে সু চ’ির মুক্তরি ব্যাপারওে তমেন কোনো আন্দোলন গড়ে তোলনে।ি ময়িানমার সরকাররে ওপর কোনো ‘প্রশোর’ও সৃষ্টি করনে।ি কনেনা ময়িানমাররে জ্বালানি সম্পদ ভারতীয় নতোদরে কাছে সু চ’ির চয়েে বশেি গুরুত্বর্পূণ ছলি। বাংলাদশে ভারতরে এই ‘অ্যাপ্রোচ’ থকেে শখিতে পারে অনকে কছিু।
ঢাকায় নযিুক্ত নয়া চীনা রাষ্ট্রদূত লি জুন একটি গুরুত্বর্পূণ মন্তব্য করছেলিনে গত ১৯ র্মাচ। তনিি বলছেনে, চীন এ অঞ্চলে র্মাকনি ঘাঁটি মনেে নবেে না। ক্রমর্বধমান ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সর্ম্পকরে পরপ্রিক্ষেতিে এই মন্তব্যরে গুরুত্ব অপরসিীম। এ অঞ্চলে র্মাকনি র্কতৃত্ব ও প্রভাব বাড়ছ।ে র্মাকনি প্যাসফিকি কমান্ডরে আওতাধীন এই অঞ্চল। তথাকথতি ‘সন্ত্রাসী র্কমকাণ্ড’ দমনে এ অঞ্চলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ র্মাকনি সনোর উপস্থতিি রয়ছে,ে যা দৃশ্যমান নয়। তবে যারা নরিাপত্তা নয়িে কাজ করনে, তারা জাননে এ অঞ্চলে র্মাকনি উপস্থতিরি উদ্দশ্যে একটাই-আর তা হচ্ছে ধীরে ধীরে ‘চীনকে ঘরিে ফলো’। যুক্তরাষ্ট্ররে এই স্ট্র্যাটজেি স্নায়ুযুদ্ধকালীন ‘কনটইেনমন্টে পলসি’ির কথাই স্মরণ করয়িে দয়ে। খুব স্বাভাবকিভাবইে চীন এ ধরনরে কোনো চাপরে কাছে নতি স্বীকার করবে না। বাংলাদশে-ভারত সর্ম্পকরে কারণে স্বাভাবকিভাবইে দৃষ্টি এখন বাংলাদশেরে দকি।ে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সামরকি বলয়ে বাংলাদশে যদি প্রবশে কর,ে তা হলে বাংলাদশেরে ভাবর্মূতি নষ্ট হব।ে হলিারি ক্লনিটনরে বাংলাদশে সফররে মধ্য দয়িে এটা স্পষ্ট হয়ে গলে, বাংলাদশে যুক্তরাষ্ট্ররে নতেৃত্বাধীন ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অক্ষে প্রবশে করতে যাচ্ছ।ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চীন তথা ময়িানমাররে বরিুদ্ধে একটি ‘ফ্রন্ট’ গড়ে তোলাই হচ্ছে হলিারি ক্লনিটনরে বাংলাদশে সফররে মূল উদ্দশ্যে। বদিশেরে সংবাদপত্র তথা ব্লগে বাংলাদশেরে সম্ভাব্য এই ভূমকিার দকিে ইঙ্গতি করা হয়ছে।ে হলিারি ক্লনিটনরে বাংলাদশে সফর ও ওআইসরি সম্মলেনে ময়িানমাররে বরিুদ্ধে বক্তব্য দওেয়া একই সূত্রে গাঁথা। এতে করে বাংলাদশে লাভবান হবে না। বাংলাদশেরে এই ভূমকিা ময়িানমার খুব ভালো চোখে দখেবে বলওে মনে হয় না। রোহঙ্গিারা আমাদরে জন্য অবশ্যই একটি সমস্যা। নানা সামাজকি সমস্যা তারা সৃষ্টি করছ।ে কন্তিু মজার ব্যাপার হল জাতসিংঘরে শরর্ণাথী বষিয়ক হাইকমশিন (ইউএনএইচসআির) আশগাবাদে যৌথভাবে এই সম্মলেন আয়োজন করলওে অতীতে রোহঙ্গিাদরে প্রত্যার্বতনরে প্রশ্নে ইউএনএইচসআিররে ভূমকিা ইতবিাচক ছলি না। তারা রোহঙ্গিাদরে প্রত্যার্বতনরে বপিক্ষে অবস্থান নয়িছেলি।
‘সফল কূটনীত’ি প্রয়োগে আমাদরে সফলতা খুব বশেি নইে। আমাদরে জন্য যসেব সুযোগরে সৃষ্টি হয়ছে,ে ‘সফল কূটনীত’ির র্ব্যথতার কারণে সইে সুযোগগুলো থকেে আমরা ফায়দা তুলতে পারছি না। ময়িানমাররে সঙ্গে দ্বপিাক্ষকি আলোচনায় রোহঙ্গিা শরর্ণাথী সমস্যার সমাধান করা উচতি ছলি। তা না করে আর্ন্তজাতকি আসরে রোহঙ্গিা প্রশ্নটি তুলে আমরা রোহঙ্গিা সমস্যার সমাধান করতে পারব বলে মনে হয় না। বরং দু’দশেরে মাঝে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতে বাধ্য। ময়িানমার যখন ‘উন্মুক্ত’ হয়ে যাচ্ছ,ে ঠকি তখনই রোহঙ্গিা প্রশ্নটি আর্ন্তজাতকিীকরণরে মধ্য দয়িে আমরা একটা ভুল সগিন্যাল পৌঁছে দলিাম। এতে করে আমাদরে জাতীয় র্স্বাথ রক্ষতি হবে না।
লখেক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বশ্বিবদ্যিালয়
ঃংৎধযসধহনফ(ধ)ুধযড়ড়.পড়স

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন