সোমবার, ২১ মে, ২০১২

আফগান নির্বাচন কি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে



ড. তা রে ক শা ম সু র রে হ মা ন ২০০৯-০৮-১৬
অাগামী ২০ আগষ্ট বৃহসপতিবার আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, তালেবানদের ক্ষমতাবৃদ্ধি আর ব্রিটিশ জেনারেল ডেভিড রিচার্ডসের আরও ৪০ বছর আফগানিস্তানে থাকার অভিপ্রায়ের মধ্য দিয়ে এ নির্বাচন যে কোনো বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কোনো কোনো মহল থেকে আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার স্বার্থে তালেবানদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করার যে আহ্বান জানানো হয়েছে নির্বাচিত পেরসিডেন্ট সে ব্যাপারে কী ভূমিকা নেন, তা নিয়ে আগ্রহ থাকবে অনেকের। গত প্রায় ৩০ বছর আফগানিস্তানে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। যুদ্ধ, গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, সংঘাত এখন আফগানিস্তানের নিত্যসঙ্গী। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশটি দখল করে নিয়েছিল। আর তার ঠিক ২২ বছর পর সেই একই ডিসেম্বর মাসে আফগানিস্তান 'দখল' করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। আজও সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আছে। আছে ন্যাটো বাহিনীও। কিন্তু যুদ্ধ থামেনি। আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে যে গৃহযুদ্ধের সূচনা, সেই গৃহযুদ্ধ আজও চলছে। শুধু যুদ্ধের পক্ষগুলোর পরিবর্তন হয়েছে। এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশটি দখল করে সোভিয়েত রাজনীতি সমর্থিত কমিউনিষ্ট পার্টির (পারচাম) নেতা বারবাক কারমালকে সেখানে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত। এরপর ক্রেমলিন নেতৃত্ব ক্ষমতায় বসিয়েছিল ডা. নাজিবুল্লাহকে। উদ্দেশ্য তৎকালীন যুদ্ধরত মুজাহিদীনদের সঙ্গে এক ধরনের সমঝোতায় গিয়ে তাদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখা। বৃহৎ শক্তির সেই ষ্ট্যাটেজিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র খুঁজে পেয়েছিল 'আরেক বারবাক কারমাল' হামিদ কারজাইকে। ২০০১ সালের ২২ ডিসেম্বর কারজাই আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আর ২০০৫ সালে তথাকথিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। সেই অর্থে আগামী ২০ আগষ্ট যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তা দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কারজাই আবারও প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আফগান জনগণের জন্য আদৌ কি কোনো অর্থ বহন করে? এর জবাব সম্ভবত না। কেননা গত ৩০ বছরের যুদ্ধে কাবুলের মসনদে শক্তির পরিবর্তন হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য যে এতটুকু নিরাপত্তা, তা নিশ্চিত করতে পারেননি কেউই। এক সময় সোভিয়েত শাসকরা বারবাক কারমালকেও সরিয়ে দিয়েছিল। আর এখন হামিদ কারজাই কখন ক্ষমতা থেকে অপসারিত হন সেটাই দেখার বিষয়। অতীতে বারবাক কারমালকে সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি তৈরি করেছিল। ঠিক একই প্রক্রিয়ায় সিআইএ হামিদ কারজাইকে তৈরি করেছিল আফগানিস্তানের পরবর্তী নেতা হিসেবে। নিউইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনে (৪ আগষ্ট, ২০০৯) এলিজাবেথ রুবিন লিখিত এক প্রবন্ধে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ১৯৯২ সালে মুজাহিদীনদের নেতৃত্বে কাবুলে যে সরকার গঠিত হয়েছিল, সেই সরকারে হামিদ কারজাই ছিলেন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তালেবানদের কাবুল দখলের (১৯৯৫) আগেই অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার দ্বন্দ্বে কারজাইকে জেলে পাঠানো হয়েছিল (১৯৯৪)। পরে জেল থেকে পালিয়ে তিনি পাকিস্তান চলে যান। সিআইএ সেখানেই তাকে রিক্রুট করে। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১-এর ঘটনাবলীর পর তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পাহাড়ি উপজাতিদের উদ্বুদ্ধ করতে সিআইএ কারজাইকে ব্যবহার করেছিল। এক পর্যায়ে তালেবানদের একটি গোষ্ঠীর হাতে বন্দিও হয়েছিলেন কারজাই। তখন সিআইএ'র একটি 'সেপশাল মিশন' তাকে উদ্ধার করে পাকিস্তান নিয়ে এসেছিল। সেই থেকে তিনি সিআইএ'র 'প্রিয়মানুষ'। তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'র সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। কারজাই ভারতে পড়াশোনা করেছেন। ভারতে থাকাকালেই তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে পড়েন। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কারণেই কারজাই কাবুলে ক্ষমতাসীন হয়েছেন এবং এই দুই শক্তির স্বার্থ যতদিন তিনি রক্ষা করবেন, ততদিনই তিনি থাকবেন ক্ষমতায়। কারজাই তার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এরই মধ্যে ড্রাগ মাফিয়াদের নিয়ে একটি গোষ্ঠী গড়ে তুলেছেন, যাদের পরামর্শেই মূলত তিনি ক্ষমতা চালাচ্ছেন। কান্দাহার প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ মূলত তার সৎ ভাই আহমেদ ওয়ালি কারজাইর হাতে। ওয়ালি আফগানিস্তানের মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং এই অবৈধ ব্যবসা মূলত তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন। ওয়ালির পাশাপাশি রয়েছেন হেলমন্দ প্রদেশের সাবেক গভর্নর মোর মোহাম্মদ আখুনজাদা, জেনারেল দোস্তাম, মোহাম্মদ ফাহিম ও মোহাক্কিকের মতো যুদ্ধবাজ নেতারা। আখুনজাদা নিজেও আফিম ব্যবসায়ী। দোস্তাম অন্যতম যুদ্ধবাজ ও উজবেক উপজাতির লোক। তিনি নিজে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের নেতা। ফাহিম তাজিক, সাবেক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ও বর্তমানে কারজাইয়ের রানিং মেট। মোহাক্কিক হাজারা উপজাতির লোক ও অন্যতম যুদ্ধবাজ। এদের প্রত্যেকের নিজস্ব বাহিনী রয়েছে। এদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রচুর অসত্রশসত্র। এসব যুদ্ধবাজকে নিয়েই একটি চক্র গড়ে তুলেছেন কারজাই। আর এই যুদ্ধবাজদের অসেত্রর অন্যতম উৎস হচ্ছে মাদক বিক্রির টাকা। এ টাকা দিয়ে তারা অসত্র ক্রয় করেন। হিলারি ক্লিনটনের ভাষায়-আফগানিস্তান তাই পরিণত হয়েছে অন্যতম ?ঘধৎপড় ংঃধঃব?-এ। অর্থাৎ মাদক রাষ্ট্র, যেখানে সর্বোচ্চ প্রশাসনের ইঙ্গিতে মাদক বিকিকিনি হয়। রাষ্ট্র এই বিকিকিনি অনুমোদন করে। টিআই'র রিপোর্ট অনুযায়ী আফগানিস্তান বিশ্বের পঞ্চম দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্র। দুর্নীতির পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আফগানিস্তানে একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একাধিক প্রতিবেদনে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঘানি, যিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী। ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি দুর্নীতির একটি ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০০৮ সালে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রাজস্ব জমা হয়েছে ৮০০ মিলিয়ন ডলার (৪০ মিলিয়ন আফগানি)। অথচ এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি আদায় হয়েছে, যা কোষাগারে জমা হয়নি। ঘানি এ জন্য দায়ী করেছেন ওই চক্রকে, যাকে তিনি অভিহিত করেছেন ?কধৎুধর ওহপড়ৎঢ়ড়ৎধঃবফ? হিসেবে। অর্থাৎ একটি মাফিয়াচক্র কারজাইকে সামনে রেখে দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাষ্ট্রীয় সম্পদ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। কারজাইর পরিবারও বৈধ-অবৈধ সব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সৎ ভাই ড্রাগ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। আরেক ভাই মাহমুদ নিয়ন্ত্রণ করেন ব্যাংক ও রিয়েল এষ্টেট ব্যবসা। আফগানিস্তানের টয়োটার ৫০ ভাগ শেয়ার মাহমুদের। কান্দাহারের মানুষ কারজাই। 'কান্দাহারি পশতুন' হিসেবেই তিনি পরিচিত। বাবা ছিলেন গোত্রপ্রধান। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানে আততায়ীর হাতে তিনি নিহত হন। কারজাই নিজের অবস্থানকে ধরে রাখার জন্য সিআইএ প্রণীত ফর্মুলা অনুসরণ করে চলেছেন। এই ফর্মুলায় যুদ্ধবাজরা আজ তার মিত্র। উত্তরে জেনারেল দোস্তাম ও কান্দাহারে যুদ্ধবাজ নেতা সিরাজী যেমনি তার 'বন্ধু'; ঠিক তেমনি হেরাতের আরেক যুদ্ধবাজ নেতা ইসমাইল খানও তার 'বন্ধু'। তিনি যুদ্ধবাজ নেতাদের স্বার্থরক্ষা করেই কাবুলে নিজের ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। ডোনাল্ড রামসফেল্ড এই ফর্মুলাকে চিহ্নিত করেছেন ?ওৎববহ ড়হ ওৎববহ ংরঃঁধঃরড়হ? হিসেবে। এর অর্থ হচ্ছে ?ভৎরবহফষু ংড়ষফরবৎ ধমধরহংঃ ভৎরবহফষু ংড়ষফরবৎ?। কারজাই এসব যুদ্ধবাজ নেতাকে নিজস্ব সেনাবাহিনী রাখতেই শুধু দেননি, বরং অবৈধ মাদক ব্যবসা ও নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণেরও সুবিধা দিয়েছেন। এ কারণে ভবিষ্যৎ আফগান রাষ্ট্রের কল্পনা করাও কঠিন। এর মধ্যেই আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আলাদা প্রশাসন, যেখানে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। স্থায়ীভাবেই যুদ্ধবাজ নেতারা অনেকটা 'স্বাধীন'। অসত্র ও মাদক এখন আফগানিস্তানের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। ২,৫১,৮২৫ বর্গমাইলের যে বিশাল পাহাড়ি এলাকা, সেই পাহাড়ি এলাকা আবার ৩২ প্রদেশে বিভক্ত। প্রতিটি প্রদেশেই রয়েছে একাধিক যুদ্ধবাজ নেতা, যারা স্থানীয়ভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। কোথাও কোথাও এসব যুদ্ধবাজ নেতা আবার তালেবানদের মিত্র। জনসংখ্যার মাঝে পশতুন (৩৮ ভাগ) এর প্রাধান্য বেশি। এরপর রয়েছে তাজিক (৩৫ ভাগ), হাজারা (১৯ ভাগ) ও উজবেকদের (৬ ভাগ) প্রাধান্য। কারজাই নিজে পশতুন হলেও, ভুলে গেলে চলবে না তালেবানদের মাঝেও পশতুন গোষ্ঠীর বড় প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে আদৌ কোনো পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ঘানি ও আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ। আবদুল্লাহ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক সময় প্রয়াত যুদ্ধবাজ নেতা শাহ আহমেদ মাসুদের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। এরা খুব একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবেন বলে মনে হয় না। যে কারণে কারজাই শেষ পর্যন্ত 'বিজয়ী' হবেন। কিন্তু তারপর? শান্তি ও স্থিতিশীলতা সেখানে কীভাবে নিশ্চিত হবে? 'যুদ্ধবাজ রাষ্ট্র' এর অপবাদ থেকে কি আফগানিস্তান বেরিয়ে আসতে পারবে কখনও? আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সেখানকার সমস্যার কোনো সমাধান দিতে পারবে না। সমাধানের একমাত্র পথ হতে পারে তালেবানদের সঙ্গে সহাবস্থান। তালেবানরা আজ আফগানিস্তানের অন্যতম শক্তি। এদের সঙ্গে 'সংলাপ'-এ যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের ধর্মীয় নেতারা একটা বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। তারা সহাবস্থানের একটি উদ্যোগ নিতে পারেন। 'লয়া জিরগা'য় তালেবান নেতাদের স্থান দিয়ে তাদের আস্থায় নেয়া যায়। জিমি কার্টার কিংবা বিল ক্লিনটনের মতো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সম্প্রতি যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছেন, এদের আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। শুধু ধর্মীয় নেতারাই গ্রহণযোগ্য হবেন। ব্রিটিশ জেনারেল রিচার্ড (যিনি সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব নেবেন) ২০৫০ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে থাকার যে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন, তা একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এতে করে বরং জটিলতা আরও বাড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ইরাক থেকে পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওবামা প্রশাসন আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে যদি এমনটি করে তাহলে তিনি ভালো করবেন। এক্ষেত্রে জেনারেল ষ্ট্রানলে ম্যাকরিষ্টাল (যিনি আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী প্রধান) একটি ভূমিকা পালন করতে পারেন। তার রিপোর্ট ওবামা প্রশাসনকে সিদ্ধান নিতে সাহায্য করবে। মনে রাখতে হবে গত ৩০ বছরের যুদ্ধে কোনো পক্ষই 'জয়ী' হয়নি। কিন্তু দেশটি ধ্বংস হয়ে গেছে। হামিদ কারজাই দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হবেন সত্য, কিন্তু যুদ্ধ তো বন্ধ হবে না। তাই নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, তা হচ্ছে ওবামা প্রশাসন কি সত্যি সত্যিই আফগান যুদ্ধের অবসান চান? এর জবাবের জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন